সময়টা ২০১৮ সাল। সবে মাত্র মার্কিন মুলুকে নতুন অর্থবছর ঘোষণা করা হয়েছে। আর তখনই দেখা গেলো একজনের উত্থান! যার সম্পদের পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে ৯ হাজার কোটি ডলার! আর সেই সাথে সম্পদের দিক থেকে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন মাইক্রোসফটের বিল গেটসকে। এতোক্ষণ আমরা যার কথা বললাম তিনি হলেন অ্যামাজন ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস।
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস আর তার প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনকে নিয়ে মজার মজার কিছু তথ্য আজ শেয়ার করবো এই ব্লগে। আশা করি আমাদের পাঠকরা এই বিষয়গুলো জেনে আনন্দ পাবেন।
অ্যামাজনের আইডিয়া যেভাবে এলো!
বর্তমানে অ্যামাজন বিশ্বের টপ রিটেইল স্টোর হিসেবে খ্যাত। তো অনেকেরই ধারণা হতে পারে জেফ বেজোসের এই তুখোড় বিজনেস আইডিয়াটা মাথায় আসতে নিশ্চয় অনেক সময় লেগেছে। জেনে অবাক হবেন যে, জেফ তার অ্যামাজন ডট কম এর প্ল্যান একটি ট্রিপে যেতে যেতে করেন। তিনি নিউইয়র্ক থেকে সিয়াটল যাওয়ার পথে তার আইডিয়া লিখা শুরু করেন এবং সিয়াটল পৌছে তার লিখার সমাপ্তি ঘটান।
তুখোড় শৈশব
ছোটবেলা থেকেই জেফ ছিলেন দারুন মেধাবী। সাইন্সের উপর তার ছিলো অপরিসীম আগ্রহ। তিনি তার বাসার গ্যারেজে একটি ল্যাবরেটরি বানিয়ে ফেলেন এবং বিভিন্ন রকমের সাইন্স প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করতে থাকেন। তার প্রথম আবিষ্কারটি ছিলো একটি ইলেক্ট্রিক এলার্ম যেটা তার রুমের সিকিউরিটি সিস্টেম হিসেবে কাজ করতো।
বইপ্রেমী বেজোস
জেফ বেজোস বই পড়তে খুব পছন্দ করেন। শুধু পছন্দ করেন তা না, তিনি এই ব্যাপারে অন্যদেরকেও আগ্রহী করে তোলেন। তার কোম্পানিতে কর্মচারীদেরকেও তিনি বই পড়ার চর্চা করান। অফিসে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ব্যান করে তিনি এর পরিবর্তে স্টাফদের ৬ পেজ করে প্রোপোজাল দিতে বলেন।
কম বয়সেই পৃথিবীর শীর্ষ ধনী
৩৫ বছর হবার আগেই মি. বেজোস পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের একজন হয়ে উঠেন। ১৯৯৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে ‘কিং অব সাইবার-কমার্স’ আখ্যা দেয় আর পৃথিবীর সবচেয়ে কমবয়স্ক ‘পিপল অব দি ইয়ারের’ একজন হিসেবে মনোনীত করে।
সিরিয়াস সিইও
জেফ বেজোস সেই বিরল সিইওদের একজন, যিনি সব কর্মী নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ বোর্ডে নিজে উপস্থিত থাকেন। আর অ্যামাজনের প্রথম এক দশকে এই নিয়মের তো কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি।
অ্যামাজনের পূর্বনাম!
Amazon.com কিন্তু একদিনেই হয়নি। অর্থাৎ জেফ যখন অনলাইন শপিং এর চিন্তাভাবনা নিয়ে প্রথম যখন কাজ শুরু করেন, তখন এটার নাম অ্যামাজন ছিল না। প্রথমে শুরু করার সময় এটি Cadabra বা Relentless.com নামে পরিচিত ছিল । পরে এটার নতুন নামকরণ করা হয় Amazon.com। এটার নাম মূলত নেওয়া হয়েছে দক্ষিন আমেরিকার নদী Amazon এর নাম থেকে। আর এর লোগোটার ডিজাইনে A তেকে Z পর্যন্ত একটা তীর চিহ্ন রয়েছে । এটা দ্বারা জেফ বোঝাতে চেয়েছেন যে এখানে মানুষের যত রকম পণ্য প্রয়োজন ততরকম সব পণ্যই পাওয়া যাবে।
স্টার ট্রেক ভক্ত বেজোস
অনেকের মতে তিনি ছোটবেলায় স্টার ট্রেকের পাগল ভক্ত ছিলেন। আর সে কারণেই কি না ২০১৬ সালে বেজোস “Star Trek Beyond” সিনেমায় অভিনয় করেন! তিনি এই সিনেমায় একটি এলিয়েনের চরিত্র করে অভিনেতার খাতায় তার নাম লেখান।
No Comments
Leave a comment