২০২০ সালের ২য় কোয়ার্টারে তাইওয়ানে লঞ্চ হওয়া BenQ ZOWIE XL2546 মডেলটি গেমিং টুর্নামেন্ট বলি বা প্রফেশনাল গেমার; সবার কাছেই বেশ জনপ্রিয়।
তাইওয়ানে ২০২১ এর ৩য় কোয়ার্টারে BenQ এর আরেকটি মনিটর লঞ্চ হয় তা হলো MOBIUZ EX2710S; থ্রি সাইডেড বেজেল ডিসাঈনের এই মডেলটি চমৎকার সব ভিস্যুয়াল এর পাশাপাশি হাই-এন্ডিং পারফর্ম্যান্সের জন্যও সকলের কাছে সমাদৃত।
চলুন দেখে আসি মডেল দুটিতে কি কি ফিচার রয়েছে যা পিসি ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হবে।
মনিটর দুটিতে ডায়নামিক একুরেসি রয়েছে যা মুভিং অবজেক্টের প্রতি ভিশন বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া, এদের ব্ল্যাক ইকুয়ালাইজার বলে আর একটি ফিচার রয়েছে যা গেমের অন্ধকার জায়গাগুলিকে উজ্জ্বল করে; বিভিন্ন শুটিং বা সার্ভাইভাল গেমস খেলার সময়ে এই ফিচারটি বেশ কাজে লাগে।
যাওয়ি মনিটরটিতে ২০ লেভেলের কালার সেটিংস এর কালার ভাইব্র্যান্স রয়েছে যাতে কালার পারফর্ম্যান্স খুবই সমৃদ্ধ। এর এডজাস্টেবল এঙ্গেল সিস্টেম রয়েছে যার কারণে আপনি শুয়ে-বসে বা আপনার সুবিধামতো যেকোন পজিশনে পূর্ণ মনোযোগে গেমস খেলতে পারবেন।
মবিয়াসের কথা বললে ট্রি ভলো এপরোচ এর কথা আসবে সবার আগে, ৫ সাউন্ড সেটিংস এর এই স্পিকারটি উচ্চমানের সাউন্ড কোয়ালিটি ডেলিভার করে। এটির মনিটর হলো একশন রেডি মনিটর যার ইমেজ অপটিমাইজার গেমারের গেমিং এক্সাইটমেন্টকে আরও বেশি রিলেটেবল করে। শুধুমাত্র গেমিং এর চাহিদার উপর ভিত্তি করে এটি বোল্ড স্ট্রিমলাইনড ডিসাঈনের দিয়ে তৈরী। এছাড়া, ব্যবহারকারীর চোখের সুরক্ষার জন্য মবিয়াসে রয়েছে লো ব্লু লাইট, ফ্লিকার ফ্রি টেকনোলজি। মনিটরের ব্রাইট ইন্টেলিজেন্স প্লাস ব্রাইটনেস আর কালার টেম্পারেচারকে এডজাস্ট করে, এতে গেমের অন্ধকার জায়গাগুলোর ইন্টেনসিটি আর ক্ল্যারিটি ধরে রাখে।
লাইট টিউনার হলো মবিয়াসের সর্বশেষ ইমেজ অপটিমাইজার ভার্সন, এর সাহায্যে গেমার আলাদা আলাদা কন্ট্রাস্টের গেমিং অভিজ্ঞতা নিতে পারবে।
দুটি মনিটরে শুধু সাদৃশ্য নয়; এদের কিছু বৈসাদৃশ্যও রয়েছে। ডিসপ্লের হাইট ২৪.৫ ইঞ্চির হলেও এদের ডিসপ্লে টাইপ একদম আলাদা। যাওয়ি এর ফুল এইচডি এলইডি এবং মবিয়াসের ফুল এইচডি আইপিএস এলইডি। দুটির প্যানেলেও রয়েছে বৈচিত্র্য, যাওয়ির টুইস্টেড নেমাটিক এবং মবিয়াসের ইনপ্লেইন সুইচিং। মনিটর দুটির রেসিউল্যুশন 2k, যাওয়ির ব্রাইটনেস ক্যাপাসিটি ৩২০ cd/m2 ও মবিয়াসের ৪০০ cd/m2।
যাওয়ির ডিসপ্লে কন্ট্রাস্ট রেশিও রেট ১০০০ঃ১, মবিয়াসেরও তাই। রিফ্রেশ রেটের কথা বললে যাওয়ি ২৪০ হার্ডজ রেটে রিফ্রেশ করতে পারে, অন্যদিকে মবিয়াস ১৪৪ হার্ডজে রিফ্রেশ করতে পারে। এছাড়া, মবিয়াসের নিজস্ব এডাপ্টিভ সিংক টেকনোলজি রয়েছে যা দিয়ে ডিসপ্লের রিফ্রেশ রেট জিপিউ এর আউটপুটের সাথে ম্যাচ করতে সাহায্য করে, যাওয়ির ক্ষেত্রে তা নেই।
যাওয়ির রেস্পন্স নিতে সময় নেয় ১ মিনিট পার সেকেন্ড, মবিয়াস নেয় ২ মিনিট পার সেকেন্ড। যাওয়ি এর এই মডেলটি এইচডিআর সাপোর্ট না করলেও মবিয়াস এর এইচডিআর ১০। যাওয়ির কালার গ্যামুট বা কালার স্পেস না থাকলেও মবিয়াসের ৯৯% এসআরজিবি কালার স্পেস রয়েছে। যাওয়ি এর কালার সাপোর্ট নেই কিন্তু মবিয়াসের কালার সাপোর্ট ১৬.৭ মিলিয়ন পর্যন্ত।
যাওয়ি এর হরাইজন্টাল ভিউয়িং এঙ্গেল ১৭০ ডিগ্রীতে এবং ভারটিকাল ১৬০ ডিগ্রী। অন্যদিকে মবিয়াসের হরাইজন্টাল ও ভারটিকাল দুটি এঙ্গেলই ১৭৮ ডিগ্রী।
পোর্ট ও স্লটের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাওয়ির ডিভিআই পোর্ট ১টি, কিন্তু মবিয়াসের কোন ডিভিআই পোর্ট নেই। দুটি মনিটরেই এইচডিএমআই পোর্ট ২টি করে রয়েছে। যাওয়ি এর ইউএসবি পোর্ট ৪টি তার মধ্যে একটি আপস্ট্রিম, ৩টি ডাউনস্ট্রিম; মবিয়াসের কোন ইউএসবি পোর্ট নেই। যাওয়ির ডিসপ্লে পোর্ট না থাকলেও মবিয়াসের ১টি ডিসপ্লে পোর্ট রয়েছে।
যাওয়ি এর হাইট এডজাস্টমেন্ট ০ থেকে ১৪০ মিলিমিটার পর্যন্ত, মবিয়াসের সেখানে নেওয়া যাবে ১৩০ মিলিমিটার। যাওয়ি এর পাওয়ার কনসাম্পশন ৫৫ ওয়াটের, মবিয়াসের সর্বোচ্চ ৫০ ওয়াট পর্যন্ত নেওয়া যাবে। ২টি মনিটরই আপনাকে দিচ্ছে ৩ বছরের ওয়ারেন্টি।
পরিশেষে এ কথাই বলা যায়, BenQ এর যাওয়ি বলি বা মবিয়াস; দুটিরই মোশন ক্ল্যারিটি আর স্পিড আপনাকে দুর্দান্ত গেমিং অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম।
No Comments
Leave a comment