D-link এর রাউটারগুলো তাদের unique ফিচারের জন্য সবসময়েই গ্রাহকদের কাছে সমাদৃত। Reasonable price এবং মানসম্মত সিস্টেমের জন্য Router ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনেকেই D-link পছন্দ করে থাকেন। আজকের ব্লগে আমরা D-link এর সেরকমই একটি রাউটার R15 AX1500 নিয়ে কথা বলবো।
D-link এর রাউটারের যে ফিচারটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সেটি হলো Eagle Pro AI; এটি wi-fi কানেকশনকে সবসময়ে stable রাখতে সহায়তা করে। এর AI system এর মাধ্যমে আপনি সিস্টেমের সকল কন্ট্রোল আপনার ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়েই করতে পারবেন।
প্রশ্ন আসতে পারে এই রাউটারে আপনি কি কি ফিচার পাচ্ছেন ? সেক্ষেত্রে সবার আগে বলতে হবে Wi-fi 6 নিয়ে। Wi-fi 6 ব্যাপারটা কি? আপনার বাসার দেওয়াল অথবা বিভিন্ন home appliance এর কারণে wi-fi সংযোগ দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যদি আপনার কানেকশনে অনেকগুলো ডিভাইস থাকে তাহলে সেই সমস্যাটা আরও বেড়ে যেতে পারে। wi-fi 6 সিস্টেমে এইরকম সমস্যা যাতে না হয় সেদিকটিই মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। আপনি যদি wi-fi connection এর জন্য আপগ্রেডেড অথবা রিপ্লেসমেন্ট খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য wi-fi 6 হলো বেস্ট অপশন। এর throughput rate রেগুলার রাউটারের তুলনায় ৪০% বেশি ইনক্রিস করে, লেটেন্সি ৫০% পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে, ১.৮ গুণ বেশি জায়গা কভারেজে আনতে পারে (যা প্রায় ২৬০০ স্কয়ার ফিট) এবং ৪ গুণ বেশি ডিভাইস কানেকশনে আনতে পারে।
এই Wi-fi 6 এ রয়েছে Bi Directoral MU-MIMO technology যাতে কভারেজে অনেক বেশি ইউজার ফাস্টার স্পিডে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এর OFDMA টেকনোলজি লেটেন্সি কমানোর জন্য একবারে অনেকগুলো ডিভাইসে স্টেবল কানেকশন প্রোভাইড করতে পারে।
এর Beamforming technology দূরত্ব বেশি হলেও ডিভাইস লোকেশন শনাক্ত করে রিলায়েবল ডেটা ট্রান্সমিশন করতে পারে। ইউজারদের প্রাইভেসি রক্ষার্থে D-link router সবসময়ে ছিল সচেতন, এর WPA3 Technology এর সাথে CNSA standard ও ১৯২ বিটের এনক্রিপশন রয়েছে যা আপনাকে unauthorized access থেকে প্রটেকশন দেয়।
এর AI system দিয়ে আপনি নিজস্ব টাইম টেবিল অনুসারে ডিভাইসকে কন্ডাক্ট করতে পারবেন। অর্থাৎ, কখন আপনি ডিভাইস অন করবেন বা কখন সেটি অফ রাখতে হবে সেটি নির্দিষ্ট টাইম পিরিয়ড দিয়ে সেট করে রাখা যাবে। এতে আপনার ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ ভাল থাকবে, network congestion কম থাকবে। বাসায় গেস্ট আসলে তারা যাতে শুধু ইন্টারনেট সংযোগে থাকে, লোকাল নেটওয়ার্কে না প্রবেশ করতে পারে, সে দিকটিও নজর রাখে।
নেটওয়ার্ক ট্রাফিক বেড়ে গেলে এর AI-based QoS technology আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে সাহায্য করবে যাতে বাফারিং ছাড়াই কাজ করতে পারেন সেই বিষয়টি নজরে রাখবে।
AI system যাতে আপনি আরও সহজে ব্যবহার করতে পারেন সে জন্য Eagle Pro AI অ্যাপ রয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে পুরো সিস্টেম আপনি পরিচালনা করতে পারবেন।
এখন কথা বলবো স্পেকস নিয়ে, এর ৩টি ল্যান পোর্ট আছে, Wan port আছে ১টি, ১টি WPS Button ও ১টি পাওয়ার কানেক্টর রয়েছে। এর ৪টি এক্সটার্নাল এন্টেনা রয়েছে।
এটি মোটামুটি সব উইনডোজেই সাপোর্ট করবে ৮ থেকে ১০ সকল উইন্ডোজেই এটি সাপোর্ট করবে, ম্যাকে যদি ব্যবহার করতে চান OS x 10.6 অথবা তার থেকে higher মডেলে এটি সাপোর্ট করবে। এর ১২০১ mbps এ ৫ গিগা এবং ৩০০ mbps এ ২.৪ গিগাহার্ডজ পর্যন্ত ডেটা রেট থাকে। এর সিকিউরিটি প্রটোকলে WPA2 (Wi-Fi Protected Access), WPA3(Wi-Fi Protected Access), WPS (Wi-Fi Protected Setup) সব ধরনের সেট আপই পেয়ে যাবেন।
ভয়েস এসিসট্যান্ট হিসেবে গুগল এসিসট্যান্ট, এমাজন আলেক্সা দুটোই পাচ্ছেন। এর ডাইমেনশন 9.90 x 6.55 x 7.64 inches. প্রোডাক্টটির ওজন ৩০০ গ্রাম। ক্যারি করার জন্য খুবই easy। এর অপারেটিং টেম্পারেচার ০ থেকে ৪০ ডিগ্রি এবং স্টোরেজ টেম্পারেচার -২০ থেকে ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে। Di-link এর রাউটারের মতো এর সাথেও আপনি পাচ্ছেন ১ বছরের ওয়ারেন্টি।
No Comments
Leave a comment