নিজের জন্য ল্যাপটপ বাছাই করা সহজ কোন কাজ নয়। আপনি যদি ল্যাপটপের খুঁটিনাটি জেনেও থাকেন কিংবা কোন ল্যাপটপ কিনবেন সেটা সম্পর্কেও নিশ্চিত থাকেন, তারপরেও সঠিক ল্যাপটপ কেনার প্রক্রিয়া মোটেও সহজ নয়। অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে আপনার জন্য উপযুক্ত ল্যাপটপটি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে। ম্যানুফেকচার কোম্পানি কিংবা রিটেইলারদের ওয়েবসাইট ঘেঁটেও অনেকসময় প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই জানা সম্ভব হয় না।
আমাদের আজকের ব্লগে আমরা এমনি কিছু দরকারি গাইড দেয়ার চেষ্টা করবো যাতে আধুনিক সময়ের ল্যাপটপ ও এর আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে আপনি একটি সামগ্রিক ধারণা পেতে পারেন।
ধারাবাহিকভাবে যে যে জিনিসগুলো দেখে নিবেনঃ
১) কোন অপারেটিং সিস্টেমটি চাচ্ছেন?
২) আপনার প্রয়োজনীয় CPUs সম্পর্কে জানুন
৩) গ্রাফিক্স কার্ড
৪) প্রসেসর নির্বাচন করুন
৫) কেমন RAM দরকার?
৬) কিরকম Storage Space দরকার?
৭) Ports গুলো চেক করা আবশ্যক
৮) Webcam সহ অন্যান্য জিনিসগুলো দেখে নিন
৯) এবার আপনার পছন্দ ঠিক করুন
পছন্দের Operating System টি বাছাই করুন
ল্যাপটপ দেখার আগে প্রথমেই জানুন যে কোন Operating System আপনার জন্য ভালো। আপনি কোন সফটওয়্যারগুলো চালাবেন এবং ঐ সফটওয়্যারগুলো চালাতে কোন Operating System সহায়ক- এই বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে। সাথে সাথে এই বিষয়গুলো নিশ্চিত হলে আপনার কী কী হার্ডওয়্যার লাগবে তাও ঠিক করতে পারবেন।
চার ধরনের মেজর Operating System বাজারে পাওয়া যায়। এর প্রত্যেকটিরই ভালো দিক যেমন আছে তেমনি দুর্বল দিকও আছে। চলুন সংক্ষেপে এই Operating System গুলো সম্পর্কে জেনে নেই-
Windows - আপনার যদি Microsoft এর বিভিন্ন অ্যাপ যেমন MS Office, Access, কিংবা Outlook ইত্যাদি দরকার হয় তবে চোখ বন্ধ করে Windows এর ল্যাপটপ বেছে নিন। এছাড়া বাজারে অন্যান্য OS এর ল্যাপটপ থেকে Windows laptops এর সংখ্যা এর প্রয়োজনীয়তার কারনেই বেশি।
MacOS - Apple এর MacOS কে আপনি Windows থেকেও বেশি Beginners friendly বলতে পারেন। তবে এর সমস্যা হচ্ছে এটি বেশি মাত্রায় Apple এর নিজস্ব হার্ডওয়্যার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আপনি যদি এর আগে iPhone or iPad ব্যবহার করে না থাকেন তাহলে এটি আপনার প্রথম পছন্দ হবে না। আর এর ল্যাপটপ অর্থাৎ MacBook এরও অপশন বাজারে নির্দিষ্ট।
Chrome OS - আপনি যদি আপনার ল্যাপটপের বেশিরভাগ টাস্ক ওয়েব ব্রাউজারে করে থাকেন তাহলে এই Chrome OS হতে পারে আপনার জন্য রাইট চয়েজ। Chrome ল্যাপটপ যেগুলো বাজারে আছে (Chromebook) সেগুলো খরচও কম পড়বে। সুতরাং টাইট বাজাটের মধ্যে আপনি যদি কোন অপারেটিং সিস্টেম চাচ্ছেন তাহলে এই Chrome OS নির্বাচন করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে Adobe's Creative Suite এবং Microsoft Office এর মতো অ্যাপগুলো এখানে কাজ করবে না।
Linux - আপনার যদি Microsoft Office এর মতো অ্যাপ না থাকে, তাহলেও থেমে থাকবে না কোন কাজ। হ্যাঁ Linux এ প্রয়োজনীয় Microsoft এর অ্যাপগুলোর রিপ্লেসমেন্ট অনেক অ্যাপই আপনি পেয়ে যাচ্ছেন। LibreOffice, Darktable (Adobe Lightroom replacement), এবং GIMP (Adobe Photoshop replacement) এর মতো অ্যাপ আপনি এই Linux অপারেটিং সিস্টেমে পেয়ে যাচ্ছেন।
প্রসেসর সম্পর্কে জানুন (CPUs)
আপনি এবার কোন অপারেটিং সিস্টেমটি চান তা জানতে পারলেন এবং আপনি যে সফ্টওয়্যারটি চালাতে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে কিছু ধারণা পেলেন। ফলে এবার আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ন্যূনতম হার্ডওয়্যার স্পেসিফিকেশনগুলি বের করতে পারবেন৷ এখন যে জিনিসটি আপনার দেখা উচিত তা হল প্রসেসর, যাকে চিপ বা CPUও বলা হয়।
বাজারে দুটি কোম্পানির প্রসেসরই বেশি চলে। এগুলো হল- Intel এবং AMD
Intel প্রসেসর
Intel এর চিপ লাইনের ভিতর Core i3, Core i5, Core i7, এবং Core i9 - এই প্রসেসরগুলোই প্রধান। এর মধ্যে Core i3 সবচেয়ে কম পাওয়ারফুল এবং Core i9 সবচেয়ে বেশি পাওয়ারফুল। অনেক ক্ষেত্রে এই Core নামটি রিপিটেটিভ হওয়ার কারনে বাদ দিয়ে সবাই i3, i5,i7, i9 ইত্যাদি লেখে ও বলে।
উল্লেখ্য এই চিপগুলোর মাঝে Intel কিছু নাম্বার ও লেটার ব্যবহার করে থাকে যা প্রসেসরগুলোর সক্ষমতা ও জেনারেশন দেওয়া থাকে। যেমন - Intel Core i5-10510U ঠিক এইভাবে ল্যাপটপ ম্যানুফেকচাররা তাদের ওয়েবসাইটে ল্যাপটপের প্রসেসর টাইপ লিস্ট করে থাকে।
উল্লেখ্য, Intel Core i5-10510U এ 10 নির্দেশ করে এর জেনারেশন অর্থাৎ এটি 10 Generation এর প্রসেসর। এরপরের দুইটি কিংবা তিনটি নাম্বার (510) নির্দেশ করে এর সক্ষমতা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় Intel Core i5-10210U থেকে Intel Core i5-10510U এর সক্ষমতা বেশি। আবার Intel Core i7-10350U এর তিনটি সংখ্যা 510 থেকে কম হলেও এর সক্ষমতা বেশি কেননা এর প্রসেসর i7 যা সবসময়ই i5 থেকে পাওয়ারফুল।
এবার একদম শেষে যে লেটার থাকে তা নির্দেশ করে Intel এর চিপগুলোর স্পেশাল কিছু উদ্দেশ্য। অর্থাৎ Y, U এবং H ইত্যাদি লেটার চিপগুলোর একধরণের বিশেষত্ব নির্দেশ করে। যেমন U লেখা চিপগুলো ল্যাপটপের power efficiency এর কাজ করে । H লেখা চিপগুলো বানানো হয়েছে পারফর্মেন্স বাড়ানোর জন্য। তেমনি Y লেখা চিপগুলো battery life বাড়াতে কাজ করে।
AMD প্রসেসর
একটি AMD প্রসেসরে উদাহরণ স্বরূপ AMD Ryzen 5 3600X এই নামটিতে ‘3’ দিয়ে এর জেনারেশন বুঝাচ্ছে (উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে যত বড় সংখ্যা তত ভালো প্রসেসর)। আর ‘6’ বোঝাচ্ছে এটি কত পাওয়ারফুল। উল্লেখ্য এই ‘6’ কে মিডিয়াম-পাওয়ার্ড চিপ বলা হয়ে থাকে। এর থেকে কম যেমন ‘3’ অথবা ‘4’ হলে এরা আরও দুর্বল চিপ নির্দেশ করে। এর পরের দুটি সংখ্যা আদতে কোন উদ্দেশ্য বহন করে না। আর শেষের ‘X’ high performance নির্দেশ করছে। এক্ষেত্রে ‘U’ থাকলে বোঝাবে Ultra-low power.
Intel আর AMD এর মধ্যে কি বড় কোনধরণের পার্থক্য রয়েছে? এর উত্তর দেওয়া আসলে কঠিন। বিশেষ বিশেষ বেঞ্চমার্ক অনুযায়ী এদের পার্থক্য করা সম্ভব। আপনি যদি শুধু ওয়েব ব্রাউজিং আর ডকুমেন্ট এডিটিং কিংবা ছোট-খাট কাজ করেন তবে Intel এর i5 আর Ryzen 5 দুইটাই আপনাকে রেকমেন্ড করা যায়। একই ধরণের কাজের জন্য Intel i7 এবং Ryzen 7 আর Intel i3 এবং Ryzen 3 নিশ্চিন্তে রিকমেন্ড করা যাবে।
কিন্তু যখন আপনি গ্রাফিক্স রিলেটেড কিংবা ভিডিও এডিটিং এর মতো ভারি কাজগুলোর জন্য কিনবেন তখন অবশ্যই এই প্রসেসরগুলোর মাঝে পার্থক্য খুঁজে পাবেন। গ্রাফিক্স পারফর্মেন্সের কথা চিন্তা করলে AMD এর প্রসেসরগুলো Intel এর থেকে কিছুটা হলেও ভালো পারফর্ম করে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে Intel Chip গুলো AMD এর সাথে পার্থক্য অনেকটাই কমিয়ে আনছে।
গ্রাফিক্স কার্ড সম্পর্কে ধারণা থাকা চাই
প্রত্যেকটি ল্যাপটপেরই আসলে টেকনিক্যালি গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে। কিন্তু এর সবই মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে। এদেরকে আমরা আরও নির্দিষ্টভাবে "integrated graphics" বলে থাকি। সিম্পল ক্যাসুয়াল গেম খেলা ও এইডডি কোয়ালিটির মুভি দেখা ইত্যাদি কাজ আপনি এই গ্রাফিক্সের মাধ্যমেই করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি রেগুলার গেমার হোন এবং ভিডিও এডিটিং এর কাজ করেন তাহলে আপনাকে discrete graphics card এর উপর নির্ভর করতে হবে। হ্যাঁ, আপনার ল্যাপটপের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ল্যাপটপের ক্ষেত্রে AMD এবং Nvidia এরাই বেশিরভাগ গ্রাফিক্স কার্ড বানিয়ে থাকে।
বেশিরভাগ Intel-based গ্রাফিক্স কার্ড GeForce line এর Nvidia graphics card হয়ে থাকে। এই কার্ডগুলো হচ্ছে মূলত Max-Q cards. এই Max-Q cards হচ্ছে Nvidia এর পাওয়ার ইফিশিয়েন্ট ও ল্যাপটপ ফ্রেন্ডলি একধরণের desktop cards. উদাহরণ হিসেবে বলা যায় GeForce GTX 1080 Max-Q এই কার্ডটির কথা। এই কার্ডগুলোর ল্যাপটপ ভার্সন ডেস্কটপ ভার্সন থেকে ২০-২৫ শতাংশ কম পাওয়ারফুল হলেও এগুলো দিয়ে আপনি নির্বিঘ্নে গেমিং ও ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন।
AMD এর গ্রাফিক্স কার্ডগুলো হলো Radeon লাইনআপের। এদেরকে R-series এর কার্ড বলা হয়। Radeon R9 হচ্ছে সবচেয়ে পাওয়ারফুল, এরপর Radeon R7 আগেরটি থেকে কম এবং Radeon R5 আরও কম।
কেমন RAM লাগতে পারে?
Random-access memory বা RAM নামে যাকে আমরা চিনি; এটি হচ্ছে আপনার ল্যাপটপে সেই অংশ যা কাজ প্রসেস হওয়ার সময় আপনার ডেটাকে ধরে রাখে। অনেকটা ডেস্কের মতো, আপনি যা করছেন তা যদি আপনার ডেস্কে ফিট না হয় তবে আপনার কাজ ঠিকমতো হবে না। তেমনি ল্যাপটপের RAM পর্যাপ্ত না থাকলে আপনার কাজগুলো ভালোভাবে হবে না, আটকে থাকবে।
বলা যায়, এভারেজ Windows ব্যবহারকারীদের জন্য 8GB এর মতো RAM ঠিক। আপনি পরবর্তীতে 16GB আপগ্রেড করে এর কার্যক্ষমতা আরও বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এখানে উল্লেখ্য, ল্যাপটপে এই RAM যদি মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে তবে এটিকে আপনি পরবর্তী কোন সময় আপগ্রেড করতে পারবেন না। তাই ল্যাপটপ কেনার আগে RAM আপগ্রেড করার অপশন আছে কি না তা দেখে কিনা উচিত।
ভারি কাজের ক্ষেত্রে ন্যূনতম 16GB RAM থাকা চাই। তবে 32GB থাকলে আপনি নিশ্চিন্তে নির্বিঘ্নে যেকোন কাজ করতে পারবেন।
Chrome OS এর ক্ষেত্রে অবশ্য এতো RAM দরকার হয় না। আপনি 4GB দিয়ে সাধারণ কাজগুলো এক্ষেত্রে ভালোভাবেই করতে পারবেন, আর 8GB পেলে অনেক ট্যাব খুলে ওয়েব ব্রাউজিং হবে নির্বিঘ্নে।
RAM এর ক্ষেত্রে DDR4 ও DDR3 এই টার্মগুলো জানা দরকার। DDR দ্বারা বোঝায় double data rate. আপনি DDR4 RAM ব্যবহার করে ভালো স্পিড পাবেন। DDR3 তুলনামূলক পুরনো এবং বর্তমান সময়ে খুব একটা ব্যবহার হয় না।
SSD Storage নাকি HDD?
Hard Drives হচ্ছে আপনার ডেটাগুলো যেখানে জমা হয়ে থাকে। বর্তমান সময় SSD বা solid state drive ই সবার ব্যবহার করছে। যদিও অনেক বাজেট ল্যাপটপে আপনি HDD বা Spinning Drive পেয়ে যাবেন।
আপনার সামর্থ্য থাকলে কমপক্ষে 256 gigabytes এর SSD কেনা উচিত হবে। SSD তুলনামূলক বেশি দ্রুতগতির পারফর্মেন্স দেয় বিশেষকরে যখন আপনি NVMe connection এর SSD নিবেন। উল্লেখ্য এটি আগের SATA ভার্সন থেকে দ্রুতগতিতে আপনার ডেটা Hard Drives থেকে আদান-প্রদান করাতে সক্ষম। অনেক সময় আপনি এমন ল্যাপটপ পেয়ে যেতে পারেন যেগুলো NVMe সহ SSD অপারেটিং সিস্টেম চালায় আর স্টোরেজ হিসেবে থাকে পুরাতন SATA Drive. এক্ষেত্রে আপনি বাজেট ফ্রেন্ডলি একটি চয়েজ পেয়ে যাচ্ছেন যা আপনাকে ভালো স্পিড দিতে পারবে।
Ports গুলো দেখে নিন
CPU, RAM, এবং hard drive যেমন আপনার ল্যাপটপের পারফর্মেন্সের উপর প্রভাব রাখে, তেমনি ল্যাপটপের Ports এর ধরণ ও সংখ্যা সমানভাবে গুরুত্ব বহন করে। বেসিক চাহিদা অনুযায়ী আপনার ল্যাপটপে অবশ্যই একটি USB-C, একটি USB-A এবং microphone/headset jack থাকা চাই। তবে USB-C চার্জিং অপশন থাকলে সবচেয়ে ভালো। আপনি ফটোগ্রাফার হয়ে থাকলে অবশ্যই দেখে নিবে যে ল্যাপটপে SD অথবা MicroSD card reader রয়েছে। কেননা ফটোগ্রাফারদের বা ক্রিয়েটিভ পারসনদের কন্টেন্ট ল্যাপটপে নিতে এই কার্ডগুলো দরকার হয়।
Webcams
Webcam ছাড়া ল্যাপটপের কথা চিন্তাও করা যায় না। যদিও এই সময়ে বাজারে এমন অনেক লো বাজারের ল্যাপটপ রয়েছে যাতে আপনি Webcam পাবেন না! কম বাজেটের ল্যাপটপগুলোতে সাধারণত 720p এর Webcam আপনি পেয়ে যাবেন। তবে প্রফেশনাল কাজের জন্য আরও ভালো রেজুলেশনের Webcam আপনি পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রাইসটা একটু বেশি হবে।
কোন জায়গা থেকে কেনা উচিত
উপরের বিষয়গুলো নিশ্চয় ভালোভাবে চেক করে নিয়েছেন। এবার কোথা থেকে আপনার ল্যাপটপটি কিনবেন সেটা এক বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়ায়। আদতে এই বিষয়টি আর বাকি সব বিষয়ের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। বরঞ্চ বলা চলে বেশি গুরুত্বপূর্ণ!
এধরণের গ্যাজেট সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে সবসময়ই উচিত হবে বিশ্বস্ত রিটেইল স্টোর কিংবা ম্যানুফেকচারার্স ওয়েবসাইট থেকে কেনা। ম্যানুফেকচারার্স ওয়েবসাইট আপনাকে সঠিক পণ্যের নিশ্চয়তা দিবে। আর স্বনামধন্য রিটেইলার প্রতিষ্ঠান আপনাকে সঠিক পণ্য যেমন সরবরাহ করবে তেমনি বিভিন্ন রকম কাস্টমার সাপোর্ট দিবে। প্রাইসিং এর ক্ষেত্রেও আপনার ঠকার সম্ভাবনা এক্ষেত্রে কম। কোন অপরিচিত স্টোর থেকে কিনলে উক্ত বিষয়গুলোর সুবিধা পাবার নিশ্চয়তা নেই।
To know more about laptop purchase CLICK HERE
No Comments
Leave a comment