২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই আমেরিকান কোম্পানিটি মূলত তাদের Multi Room Audio প্রোডাক্টস এর জন্য সুপরিচিত। তারা তাদের product এর বিল্ড কোয়ালিটি এবং দারুন পারফর্মেন্স এর মাধ্যমে ইতমধ্যে বিশ্ববাজারে জায়গা দখল করে নিয়েছে। স্ট্যাট্যাস্টিকা -এর তথ্য অনুযায়ী বিশ্ববাজারের স্পীকার এবং সাউন্ড সিস্টেমের ৪ শতাংশ দখল করেছে SONOS
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বাজারে SONOS এর প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছে রায়ান্স। বাংলাদেশের বাজারে SONOS ব্র্যান্ড এর অথেন্টিক প্রোডক্টগুলো ক্রেতার হাতে পৌছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।
এই ব্লগ পোস্টে আপনাদের জানাবো SONOS ওয়্যারলেস স্পিকার এবং হোম সাউন্ড সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাগুলি। এছাড়া আলোচনা করবো SONOS স্পীকারের মডেলগুলো নিয়ে। আরো থাকছে আপনার, ‘’চাহিদা এবং পছন্দের সমন্বয়ে কেন SONOS আপনার পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকা উচিত’’ সে বিষয়ে আলোচনা।
প্রথমে জেনে নেয়া যাক SONOS স্পিকারের সেইসব ফিচারগুলো যা অন্যন্য সাউন্ড সিস্টেম এর থেকে এটাকে আলাদা করে তুলেছে।
১। টপ ক্লাস সাউন্ড কোয়ালিটি এবং Trueplay Technology
২। ওয়্যারলেস প্রযুক্তি।
৩। মাল্টিরুম অডিও
৪। SONOS অ্যাপ এবং ভয়েস কন্ট্রোল
৫। ইজি আপডেট সিস্টেম
১। টপ ক্লাস সাউন্ড কোয়ালিটি এবং Trueplay Tuning Technology
SONOS এর সাউন্ড কোয়ালিটি এটাকে বাজারের অন্যান্য স্পিকারের এর থেকে আলাদা করে তুলেছে। অস্কার এবং গ্র্যামি জয়ী মিউজিক প্রডিউসার, মিক্সার এর আর্স্টিসরা SONOS এর সাউন্ড ডিজাইন করে থাকেন। এত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষদের কাছ থেকে ডিজাইন হয়ে আসা স্পীকারটি যে আপনাকে অবশ্যই রিচ সাউন্ড কোয়ালিটি দেবে তা বলাই বাহুল্য। ফলে মুভি, মিউজিক কিংবা পডকাস্ট যেকোনো কিছুর এক অনন্য অভিজ্ঞতা আপনি পাবেন SONOS এর সাথে ।
নির্দিষ্ট রুম বা স্পেসের সাউন্ড কোয়ালিটি এডজাস্ট করার জন্য SONOS ব্যাবহার করে Trueplay Tuning Technology । এর ফলে আপনি যেখানেই স্পীকারটি রাখুন না কেন আপনি পাবেন SONOS এর অটোম্যাটিকলি ডিজাইনড বেস্ট পসিবল সাউন্ড কোয়ালিটি।
২। ওয়্যারলেস প্রযুক্তিঃ
বর্তমানে যেহেতু ওয়্যারলেস পোর্টেবল স্পিকারগুলো পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে তাই SONOS তাদের স্পিকার গুলো এমনভাবে ডিজাইন করেছে যেন এগুলো wired এবং wireless দুইভাবেই কনফিগার করা যায়।
এর সাথে রয়েছে WiFi কানেক্টিভিভি। যার সাহায্যে মাত্র কয়েকটি ট্যাপেই আপনি আপনার প্রিয় মিউজিক স্ট্রিমিং সাইট (যেমনঃ Spotify, Apple Music বা Pandora) থেকে ননস্টপ মিউজিক স্ট্রিম করতে পারবেন।
২। মাল্টিরুম অডিওঃ
বাড়ির আলাদা আলাদা জায়গায় রাখা সবকটি স্পিকার একসাথে সিংক করা সম্ভব SONOS এর মাল্টিরুম অডিও টেকনোলজির সাহায্যে। ফলে একটা সিংগেল কমান্ড এর সাহায্যে সব স্পীকারে একই অডিও প্লে করা যাবে ।
৩। কন্ট্রোলঃ SONOS অ্যাপ এবং ভয়েস কন্ট্রোল
মিউজিক লাইব্রেরি ব্রাউজ করতে এবং প্লেব্যাক নিয়ন্ত্রণ করতে SONOS এর আছে নিজস্ব অ্যাপ । যার সাহায্যে ভলিউম এডজস্ট, প্লে লিস্ট তৈরির মত কন্ট্রোল গুলো থাকছে হাতের মুঠোয়।
এছাড়াও SONOS এর স্পিকার ও হোম সিস্টেমগুলোতে ভয়েস কন্ট্রোল সুবিধা রয়েছে। গুগল এসিস্টেন্ট, সিরি এবং এলেক্সার সাহায্যে ভলিউম এডজাস্ট, থেকে মিউজিক চেঞ্জ সবই ভয়েস কমান্ডের সাহায্যে করা যায়।
৪। ইজি আপডেট সিস্টেম
নিশ্চয়ই সময়ের সাথে সাথে আপনি চাইবেন আপনার ঘরে থাকা সাউন্ড সিস্টেমটিকে আপগ্রেড করতে? কিন্তু নতুন সাউন্ড সিস্টেম আনার জন্য পুরোরো সাউন্ড সিস্টেম বাদ দিয়ে দেয়ার কোনো ঝামেলা SONOS এ নেই।
কেননা SONOS এর প্রোডাক্ট গুলো আপনি ইজিলি ইন্টিগ্রেট করতে পারবেন। SONOS তাদের সফটওয়্যার এবং ফিচার সবসময় আপডেট রাখে ফলে আপনার স্পীকারটি আদতে কখনো পুরোনো হবেনা।
ফলে প্রথমে সিংগেল স্পিকার গুলো এক্সপিরিয়েন্স করে সময়ের সাথে সাথে আপনার সাউন্ড সিস্টেমে নিশ্চিন্তে যোগ করুন নতুন স্পিকার
SONOS এর সব স্পিকার গুলোতে ওয়্যারলেস সুবিধা রয়েছে ফলে বিল্ট ইন পোর্টেবলিটি থাকছেই। এর বাইরে স্পেশাল ফিচার গুলো জেনে নেব এই সেকশনে। যাতে আপনি বাড়ি কিংবা বাইরের জন্য আপনার চাহিদা অনুযায়ী সবচেয়ে সুইটেবল স্পীকারটি বেছে নিতে পারেন
আউটডোরের জন্য সেরা হবে SONOS এর
৩। Sonos Move
আউটডোর পিকনিক,ট্যুর-ট্রাভেল কিংবা আপনার ছাদের পার্টির বেছে নিতে পারেন এই তিনটির মধ্যে যেকোনো একটি। তিনটিতেই আপনি পাচ্ছেন ব্লুটূথ এবং ও্যাই ফাই কানেকশন।
Sonos Roam SL এবং Sonos Roam Shadow এই দুইটি স্পিকার এর ওয়াটার প্রুফ লেভেল IP67. অর্থাৎ এটি ধুলো-মাটি থেকে ১০০% সুরক্ষিত এবং ১ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকতে সক্ষম। ফলে বৃষ্টিতে ভিজলে কিংবা পানিতে পড়ে গেলেও কোনো চিন্তা নেই।
SONOS MOVE এর ওয়াটার প্রুভ লেভেল IP56. অর্থাৎ এটিও ১ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকতে সক্ষম এবং যেকোনো দিক থেকে হেভি ওয়াটার ফ্লো হলেও সুরক্ষিত থাকবে । তবে SONOS MOVE ট্রাভেল এর জন্য বিশেষ উপযোগী না কারন এর ওজন। SONOS MOVE এর ওজন Sonos Roam SL Shadow এবং Sonos Roam Shadow এর চেয়ে তুলনামূলক বেশি। এটা আপনার ছাদের পিকনিক কিংবা ব্যাকইয়ার্ড বারবিকিউ পার্টিতে ব্যাবহারের জন্য পারফেক্ট।
এবারের সেকশনে জেনে নিবো রুম কিংবা সিঙ্গেল ইউজ এর জন্য কোন স্পিকারটি হতে পারে আপনার উপযুক্ত।
১। Sonos One
৫। Sonos Beam
৪। Sonos Five
Sonos Beam ছোট রুমের জন্য, Sonos One, Sonos Era 100 ছোট থেকে মাঝারি আকারের রুমের জন্য উপযুক্ত। বড় আকারের রুম, লিভিং রুম কিংবা ড্রয়িং রুমের জন্য বেছে নিতে পারেন Sonos Five অথবা Sonos Era 300 এর মধ্যে যেকোন একটি।
Sonos এর সব স্পীকারগুলোতে ভয়েস এসিস্টেন্স এবং ভয়েস কন্ট্রোল এভেইলএবল ফলে গুগল এসিস্টেন্স, সিরি এবং এলেক্সার সাথে এক্সপিরিয়েন্স করতে পারবেন একটা স্মার্ট স্পিকার।
মুভি এবং মিউজিক এর জন্য এগুলো স্পেশালি ডিজাইন করা তাই প্রত্যেকটার সাথেই আপনি পাবেন দারুন সিনেম্যাটিক সাউন্ড এবং মিউজিক এর অনন্য অনুভূতি।
আলটিমেট হোম থিয়েটার এর জন্য বেছে নিতে পারেন
২। Sonos Arc
এর মধ্যে যেকোনো একটি । Television set, computer, or MP3 এর সাথে এগুলো ব্যাবহার করা যাবে। এই দুটিতেই Dolby Digital Surround Sound Technology এভেইলএবল। Dolby Digital Surround Sound Technology হলো পাঁচটা কর্নার থেকে সাউন্ড প্রোভাইড করে এবং লো ফ্রিকুয়েন্সিতে মুভি থিয়েটারের সাউন্ড এফেক্ট দেয়। অর্থাৎ মোট ছয়টা রেঞ্জ থেকে ক্লিয়ার এন্ড ক্রিস্প সাউণ্ড ঘরে বসে আপনি পাবেন SONOS এর সাথে। যা আপনার মুভি দেখা, গান শোনা এবং গেমিং এর এক্সপিরিয়েন্স করতে পারবেন বেস্ট পসিবল সাউন্ড কোয়ালিটি।
এছাড়া SONOS অনান্য ফিচার যেমন Voice Control,True Play Tuning, Multiroom Audio এইসমস্ত ফিচার তো থাকছেই।
স্পিকারগুলোর সাউন্ড কোয়ালিটি, ওয়্যারলেস কানেক্টিভিটি ,ইজি ইন্সটলেশন, মাল্টি রুম টেকনোলোজি, sonos অ্যাপ কন্ট্রোল, ভয়েস কন্ট্রোল (অ্যামাজন অ্যালেক্সা ,গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট কিংবা সিরির সাহায্যে ভয়েস কন্ট্রোল) আপনার হোম এবং সাউণ্ড সিস্টেম কে দেবে একটা স্মার্ট ইকোসিস্টেম। সঙ্গীত,মুভি কিংবা পডকাস্ট যেকোনো সাউন্ড এর বেস্ট পসিবল এক্সপিরিয়েন্স এর জন্য আপনি বেছে নিতে পারেন আপনার চাহিদা অনুযায়ী sonos এর যেকোনো স্মার্ট স্পিকার ও সাউন্ডবার।
No Comments
Leave a comment